ফরিদপুরে শ্যালিকাকে (২৫) গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
আদালত ওই চার আসামিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুটি ধারায় দণ্ড দেন। হত্যার ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর দুলাভাই ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৮), একই গ্রামের কামরুল মৃধা (৩৮), আলী বেপারী (৪৩) ও চরদড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের বক্কার বেপারী (৩৮)। আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অপরদিকে ধর্ষণের দায়ে ওই চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে পারলেও উভয় দণ্ডের আর্থিক জরিমানা আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হবে।
এ মামলার আরও দুই আসামি— মমতাজ বেগম (৬৩) ও আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলী বেপারীর বাবা আবুল কালাম বেপারীকে (৬৮) মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর দুলাভাই জাহাঙ্গীর বেপারী ছাড়া বাকিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ প্রহরায় দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জাহাঙ্গীর বেপারী তার সহযোগীদের নিয়ে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে বলে—‘তোমার বোন এসেছে, দরজা খোল।’
দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীরসহ অন্য আসামিরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারীর মা বাদী হয়ে ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নম্বর আমলি আদালতে জাহাঙ্গীরসহ সাতজনকে আসামি করে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া বলেন, ২০১২ সালে ঘটনা ঘটার পর সংশ্লিষ্ট থানা মামলা না নেওয়ায় পরে আদালতে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন সদরপুর থানার এসআই, ওসি, ঢাকার সিআইডি ও ফরিদপুর ডিবিসহ সাতজন কর্মকর্তা। অবশেষে ঘটনার পাঁচ বছর পর ফরিদপুর ডিবির এসআই মো. আবুল কালাম অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার পেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার— আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) এতে সন্তুষ্ট।
                           বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ রায় দেন।
আদালত ওই চার আসামিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুটি ধারায় দণ্ড দেন। হত্যার ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর দুলাভাই ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৮), একই গ্রামের কামরুল মৃধা (৩৮), আলী বেপারী (৪৩) ও চরদড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের বক্কার বেপারী (৩৮)। আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অপরদিকে ধর্ষণের দায়ে ওই চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে পারলেও উভয় দণ্ডের আর্থিক জরিমানা আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হবে।
এ মামলার আরও দুই আসামি— মমতাজ বেগম (৬৩) ও আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলী বেপারীর বাবা আবুল কালাম বেপারীকে (৬৮) মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারীর দুলাভাই জাহাঙ্গীর বেপারী ছাড়া বাকিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ প্রহরায় দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাত ১টার দিকে জাহাঙ্গীর বেপারী তার সহযোগীদের নিয়ে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে বলে—‘তোমার বোন এসেছে, দরজা খোল।’
দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীরসহ অন্য আসামিরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারীর মা বাদী হয়ে ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নম্বর আমলি আদালতে জাহাঙ্গীরসহ সাতজনকে আসামি করে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া বলেন, ২০১২ সালে ঘটনা ঘটার পর সংশ্লিষ্ট থানা মামলা না নেওয়ায় পরে আদালতে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন সদরপুর থানার এসআই, ওসি, ঢাকার সিআইডি ও ফরিদপুর ডিবিসহ সাতজন কর্মকর্তা। অবশেষে ঘটনার পাঁচ বছর পর ফরিদপুর ডিবির এসআই মো. আবুল কালাম অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘসূত্রিতা থাকলেও ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার পেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার— আমরা (রাষ্ট্রপক্ষ) এতে সন্তুষ্ট।
 
  অনলাইন ডেস্ক
 অনলাইন ডেস্ক  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                     
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                